বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার ভাবনা:
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে তাওহীদবাদীদের করণীয়।
স্ট্যাটাস টা দেওয়ার পূর্বে সাধ্যানুসারে ভাবার চেষ্টা করেছি। সবগুলো দিক বিবেচনা করে কী বোর্ডে হাত রেখেছি। ভাবনাগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি।আল্লাহ যেন আমাকে পথভ্রষ্ট না করেন। আমিন।
১.বাংলাদেশে আমরা মা'জুর, তাই সবর করছি। শাসকের লিয়াজু করে চুপ আছি ব্যাপার টা এমন নয়।
২.এমন শাসকের নিকট উত্তম পন্থায় দাওয়াত দেওয়া উত্তম। মিছিল করে, হরতাল দিয়ে জাতির সম্পদ নষ্ট করে, সুদূরপ্রসারী কোন উপকার হবে না।
(কেউ যদি মনে করেন এতে কোন কোন সময় সাময়িক উপকার হলেও এতে সুদূরপ্রসারী কোন উপকার আছে তাহলে ব্যাখ্যা করে যাবেন। এগুলো করে ইতিপূর্বে কি কি উপকার হয়েছে তার একটা শট লিষ্ট দিয়ে যাবেন)
৩.যদি এই শাসক কে বৈধ শাসক মনে করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনোভাবেই মিছিল,বিদ্রোহ জায়েজ নয়,আর যদি বৈধ শাসক মনে না করেন তাহলে আপনাদের ইমাম কোথায়?
[এটি শাসকের বিরুদ্ধাচারনের শর্ত]
৪. যদি ইমাম থেকে থাকে তাহলে হরতাল,মিছিল কেন? অস্ত্রের জি হা দ কেন করছেন না?
৫.আর যদি বলেন আমরা দাবী জানাচ্ছি,এতেই সন্তুষ্ট কিন্তু এই শাসক কে বৈধ মনে করি না,এমন ব্যাক্তি কে বলবো হিংস্র জানোয়ারের কাছে যাদি হিংস্রতার বিচার চান এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না।
জেনে রাখবেন মুমিন কখনোও আল্লাহর বিধান অমান্যকারী জেনে শাসকের প্রতি সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করতে পারে না,সে মাজুর অবস্থায় অপরাগতার কারণে যতটুকু প্রয়োজন শুধু ততটুকুই সাহায্য কামনা করতে পারবে এর চেয়ে একফুটাও বেশী কামনা করা তার জন্য জায়েজ নহে।
৫. কোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছাড়াই ছোটখাটো দাবীর জন্য মুসলিম ভাইদের জীবন বিপদে ফেলা, পান থেকে চুন খসলেই গরম বক্তৃতা দিয়ে মাঠ গরম করে জনসাধারন কে ক্ষেপিয়ে তোলা' কতটুকু গ্রহনযোগ্যতা রাখে?
৬ আজকে হরতাল। কেন? কেন হিংস্ররা তাদের হিংস্রতা দেখালো এই জন্য । নিজেদের অন্তরে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কোন পরিকল্পনা ছাড়াই মুসলিমদের জীবন বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে, জন সাধারণের ক্ষতি হচ্ছে, এতে কি উম্মাহর আদৌ কোন উপকার হচ্ছে?
৬.এখন যারা শহীদ হয়েছে তাদের জন্য আমাদের করণীয় কি?আবার মিছিল আরো পাচ ছয় জনের লাশ?
পিছনের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের কি অপরিপক্কতার পরিচয় না দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করা উচিত না!
৭. কোন কোন বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বী শাসক গোষ্ঠী কে ঢালাওভাবে কাফের, মুরতাদ ঘোষনা করেছেন। তখন কি হবে যখন তাঁদেরই একজন জনসম্মুখে বলবেন এ শাসক তাহাজ্জুদ গুজারী।
লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে। এমন শত শত কারণ আছে যার কারণে আমাদের প্রতি কদমে ধীরস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়।
বস্তুত আমরা তন্ত্রে- মন্ত্রে বিশ্বাসী না। আমরা খেলাফত আলা মানহাজিন্নবুয়াতে বিশ্বাসী। এ ব্যাপারে অন্ধ ব্যাক্তি কখনো আমাদের কর্মপন্থা বুঝবে না। আমাদের কর্মপন্থায় তার গাত্রদাহ হবেই এটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি হওয়ার দলিল
সারকথাঃ
যদি এই সরকার কে বৈধ মনে করেন,তার বিপক্ষে মিছিল জায়েজ নয়,আর যদি বৈধ মনে না করেন,তাহলে তার কাছে দাবী জানানোও জায়েজ নয় ইমাম ব্যতিত,আর যদি আপনাদের ইমাম থাকে মিছিল কেনো, জি হা দ কেনো করছেন না?আর যদি আপনাদের ইমাম না থাকে তাহলে প্রস্তুতি নিতে থাকুন, যাতে উপযুক্ত সময়ে এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন ।
সবরের সময় সবর করুন,দাওয়াত দেন,আর যদি মুখ দিয়ে বলার ক্ষমতা থাকে মুখ দিয়ে বলুন,অন্তর দ্বারা থাকলে অন্তর দিয়ে বলুন,হাত দ্বারা ক্ষমতা থাকলে হাত দিয়ে বলুন,মাঠে নেমে মুখ দিয়ে বলার মানে হয় না,এটা মুখ দিয়ে বলার জায়গা না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিঃদ্রঃ যুক্তিসঙ্গত মতামত উপেক্ষা করা হবে না। প্রয়োজন মনে করলে মন্তব্য ঘরে কিছু লিখে যাবেন। এগুলো নিজস্ব মতামত।